শনিবার, ১১ মে, ২০১৩

প্রধানমন্ত্রীর সাথে CNN এর সাংবাদিকের আচরন গ্রহনযোগ্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে খুব সমালোচনা চলছে। ব্যাপারটা যখন আন্তজাতিক পযায়ে চলে গেছে তখন একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে কিছু বলতেই হবে। যেভাবে সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন গুলো করেছেন এটা আমাদের দেশের কোন সাংবাদিক যদি আমেরিকার কোন president কে করতো তাহলে তার জীবনের জন্যে আমেরিকা যাওয়া বন্ধ হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদের একটা কথা বলে নেই বাংলাদেশটা আমেরিকার কাছ থেকে পাই নাই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমার এই বাংলাদেশ। মুক্তিযোধের সময় যখন লক্ষ লক্ষ মানুষকে কুকুরের মত গুলি করে হত্যা করেছে পাকিস্থানিরা তখন কোথায় ছিল আমেরিকাদের মানবতা?

সাভার ট্রাজেডি নিয়ে সরকার যতটুকু করেছে সেটা সবাই দেখেছি। নতুন করে কিছু বলার নাই। কিন্তু একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যেই প্রশ্ন গলো করেছেন সেখানে প্রধামন্ত্রী বেশিরভাগ উত্তর যেভাবে দেওয়া উচিত সেভাবেই দিয়েছেন। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি আমেরিকার সব accent আমদের বুঝার কথা না। আর আমাকে ১০০% বোঝতেই হবে এমন কোনো কথা নাই। আমরা যখন British দের সাথে কথা বলি তখন অনেক সময় half বুঝি বাকিটা বুঝি না তার পরেও উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রধানমন্ত্রী সেই দিক থেকে খুব ভাল ভাবেই বুঝেছেন এবং কথাগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যারা সমালোচনা করছেন তাদের একটু নিজেদের নেত্রীর দিকেও তাকানো উচিত। 


বাহিরের দেশের সাংবাদিকদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা শেখ মুজিবের দেওয়া এক সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাতকারটা দেখলেই বুঝা যায়। আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাংবাদিক এমন ভাবে কথা বলবে আর আমি বিরোধী দল করি বলে বাহ বাহবা দিব এটা অন্তত তরুন প্রজন্মের কাছ থেকে কেও আশা করে না। সবকিছুর উপর আমার বাংলাদেশের sovereignty.


আমি এখানে কাউকে defend করার জন্যে কথা গুলো বলি নাই আমার কথা গুলোর পেছনে একটাই কারন আছে আর সেটা হল CNN এর সাংবাদিক যেভাবে কথা বলছিল তার ভাবটা এমন ছিল যে সে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কিভাভে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করবে এবং CNN কে কেন বাংলাদেশে যেতে দিল না সেটার ঝাল মেটাবে প্রধানমন্ত্রীর উপর দিয়ে। একটা পযায়ে এসে সে প্রধানমন্ত্রীকে বলছে stop এবং সেই approach টা ছিল খুবই বাঝে। সারাটা interview জুড়ে তার মধ্যে বিনয়ি কোন ভাবটা ছিল না। আমি উন্নয়নশীল দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে বাহিরের দেশের একজন সাংবাদিক যেন তেন ভাবে কথা বলতে পারে না। 

শেখ মুজিবুর রহমানের কথাটা আনা হয়েছিল শেখ হা্সিনার সাথে তুলনা করার জন্যে নয় বরং এইটা বুঝানোর জন্যে যে একজন সাংবাদিক কিভাবে তার সাথে কতটা বিনয়ের সাথে কথা বলেছিল এবং শেখ মুজিব কিভাবে উত্তর গুলো দিয়েছিল। কাজেই একজন প্রধানমন্ত্রী যখন বাহিরের সাংবাদিকের সাথে কথা বলবেন তখন তাকে নিজের দেশের জন্যেই কথা বলতে হবে এবং প্রয়োজনের খাতিরে কিছুটা diplomatic answer দিতে হবে এখন সেটা অনেকের কাছে মিথ্যা মনে হতে পারে। আর এটা না করে যদি সব কিছু confess করে কথা বলে থাহলে আমেরিকার মত দেশ গুলো পান থেকে চুন খসলেই আমদের উপর হস্তখেপ করা শুরু করবে। 

ব্যাপারটা যদি এমন হত সাভারের ঘটনা ঘটার পর সরকার একবারেই চুপ করে বসে আছে তাহলে বলা যেত প্রধানমন্ত্রী CNN এর সাথে গলা ফাটিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। যেখানে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেছেন মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এবং এদেরকে কিভাবে খতিপূরন দেয়া যায় পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্যে বিজএমের সাথে কথে বলছেন শ্রমিকদের নিতিমালা নিয়ে সেখানে CNN কে এর চেয়ে বেশি কি বলবেন? কাজেই আমার কথাগুলোর পেছেন একটাই reason আজকে যিনি বিরোধী দলে আছেন উনি যখন প্রধানমন্ত্রী হবেন তখন উনার খেত্রেও আমার একি বক্তব্য থাকবে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একজন বিদেশি সাংবাদিক তুচ্ছেতাচ্ছিল্য করা কথা বলবে সেটা আমি মেনে নিতে পারবোনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন