রবিবার, ১৯ মে, ২০১৩

ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ভারত বাংলাদেশ স্থুল সীমান্ত চুক্তি তিনবার সাক্ষরিত হলেও এর বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।প্রথম সাক্ষরিত হয়ছিল ১৯৭৪ সালে।  ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্থান বিভক্ত হলে প্রথম দেশহীন হয়ে পড়েন ছিটমহলবাসী। ছিটমহল শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে কিছু দেশের নাগরিকের রাতারাতি দেশহীন হয়ে পড়ার গল্প। আছে নাগরিক আধিকার, মানবাধিকার ও জীবনের মৌলিক অধিকার বঞ্ছিত হয়ে পড়ার গল্প। রেডক্লিফের এক কলমের আঁচড়ে হঠাতই দেশহীন হয়ে পড়েন দুদেশের ছিটমহলের মানুষগুলো। ৬৫ বছর পার হয়ে যাবার পরও এর সুরাহা এখনো হয়নি। ভারত বাংলাদেশ ছাড়া আর মাত্র একটি দেশ, ফিলিসস্থিনের জনগনকে এ নির্মম ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে। এছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও ছিটমহলের নামে নাগরিকদের অধিকার হরণের বিরল ঘটনা নেই। ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১ টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১ টি ছিটমহল রয়েছে।

বাংলাদেশি ছিটমহল গুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতীয় ছিটমহল গুলোতে জনসংখ্যা র‍য়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। এই সীমান্ত চুক্তি নিয়ে বিরোধী দল একেবারেই চুপ। ভারত সরকার স্থলসীমান্ত চুক্তিটি এখনো তাদের পার্লামেন্টে অনুমোদন করাতে পারে নাই। সরকার কিছু্দিন আগে উদ্যেগ নিলেও এই ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে তেমন একটা উদ্যেগ আর চোখে পড়ছে না। যতদিন না পর্যন্ত ভারতীয় পার্লামেন্ট এই চুক্তি অনুমোদন দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ঝুলে থাকবে ছিটমহলবাসীর ভাগ্যের পরিহাস। তারা তাদের নাগরিক অধিকার পাবে না।

উল্লেখ্য যে ভারত সরকার এই মে মাসে তাদের পার্লামেন্টে এই স্থুল সীমান্ত চুক্তি প্রস্তাব তোলার পর বিজেপি তাদেরকে শর্ত দিয়েছিল রেলমন্ত্রি এবং আইনমন্ত্রির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কোনো বিল পার্লামেন্টে পাশ করতে দেবে না। ভারত সরকার সেই দাবি মেনে নিয়ে দুইমন্ত্রিকে পদত্যাগ করায়। এই দিকে আসামের দুই সংসদ সদস্যও এই বিলের বিরধীতা করে। যাই হোক এটা তার দেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপার। কিন্তু আমাদেরকে কেন খেসারত দিতে হবে। আমরা কেন ভোক্তভূগী হবো? এখনো আমরা ওই চুক্তি পাশ করা নিয়ে আশার আলো আর দেখতে পাচ্ছি না। কাজেই সরকারের পক্ষ থেকে আবারো চাঁপ দিতে হবে ভারত সরকারকে। আর কতদিন এভাবে ছিটমহল বাসীদের উব্দাস্তুদের মতো জীবন যাপন করতে হবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন